২০১৭ সালে সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ মহিলা চ্যাম্পিয়নশিপ ফুটবল টুর্নামেন্টে গোল্ডেন বুট জয়ী জাতীয় মহিলা ফুটবল দলের সেরা খেলোয়াড় আঁখি খাতুনকে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে আট শতক জমি উপহার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বসতবাড়ির জমি পেয়ে আনন্দিত তার পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনরা।
শনিবার (৪ জুন) দুপুরে সিরাজগঞ্জ অফিসার্স ক্লাবে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে আঁখির পরিবারের কাছে জমির দলিল হস্তান্তর করেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব কবির বিন আনোয়ার।
অনুষ্ঠানে কবির বিন আনোয়ার বলেন, জাতীয় দলে আঁখির অসাধারণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী তার পরিবারের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে তিন বছর আগে জমি দেওয়া হয়েছিল। আঁখিকে যে জমি দেওয়া হয়েছিল, তা নিয়ে বিভিন্ন জটিলতা সৃষ্টি হওয়ায় বিষয়টি বাফুফের সভাপতি ও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে জানায় আঁখি।
নি আরও বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে আমরা আঁখির পরিবারের জন্য উপযুক্ত জমি পেতে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করি। আজকে আঁখির মা-বাবার কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে বসতবাড়ির জমি হস্তান্তর করা হলো।
জেলা প্রশাসক ফারুক আহম্মেদ বলেন, এই মুহূর্তে জমিটি জলাশয়ের মধ্যে আছে। জায়গাটিকে আঁখি ও তার পরিবারের ব্যবহারের জন্য উপযোগী করে দেওয়া হবে। আঁখির পরিবার যেন আর্থিক ব্যয় ছাড়াই ব্যবহার উপযোগী হিসেবে জায়গাটি পায়, সেই লক্ষ্যে কাজ করছি। দলিল হস্তান্তর অনুষ্ঠানের তিন দিন আগে আঁখি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) কার্যালয়ে গিয়ে দলিলের কাজ শেষ করেছেন।
আঁখির বড় ভাই নাজমুল হোসেন বলেন, মাত্র এক শতক জমির ওপর দো-চালা একটি টিনের ঘর আমাদের। খুবই কষ্ট করে লেখাপড়া করেছে আঁখি। থাকার মাত্র একটি ঘর। সেখানেই খুব কষ্ট করে মা বাবা থাকে। আমি থাকি এক চাচার ঘরে। আঁখি বাড়ি এলে মায়ের সঙ্গে খুব কষ্ট করে ঘুমাই। আঁখি শুধু আমার নয়, পুরো সিরাজগঞ্জবাসীর গর্ব। তাই আঁখি বাড়ি পাওয়ায় আমি খুবই আনন্দিত।
জমির কাগজ বুঝে পেয়ে আঁখির বাবা আক্তার হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমার মেয়েকে যে উপহার দিয়েছেন, এটা দেখে আরও অনেক খেলোয়াড় অনুপ্রাণিত হবেন। ভবিষ্যতে আমার মেয়েকে আরও ভালো খেলার জন্য প্রধানমন্ত্রীর এই উপহার সাহায্য করবে। আমরা সবাই প্রাণভরে প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া করি।