নীলফামারীতে টানা ভাবি বর্ষণ আর উজানের পাহাড়ি ঢলে হু হু করে বেড়ে চলেছে তিস্তা নদীর পানি প্রবাহ। এতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঽওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। শনিবার (১৮ই জুন) সকালে লালমনিরহাট হাতীবান্ধা তিস্তা ব্যারাজ ডালিয়া পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ৫২.৩৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সাধারণত স্বাভাবিক পানির প্রবাহ ৫২.৬০ সেন্টিমিটার। শুক্রবার (১৭ই জুন) রাত ১২টার দিকে সেখানে পানি প্রবাহ ছিল ৫২.৭৫ সেন্টিমিটার। যা বিপদসীমার ১৫ সেন্টিমিটার উপরে।
শনিবার দুপুরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত মহাপরিচালক জ্যোতি প্রসাদ ঘোষ, নির্মাণাধীন দোয়ানী গাইড বাঁধ, তিস্তা ব্যারেজের ফ্লাড বাইপাস সহ গত আকস্মিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত চলমান একাধিক কাজ পরিদর্শন করেছেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন রংপুর পওর সার্কেলের খুশি মোহন সরকার, রংপুর পওর বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলি আহসান হাবীব, ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদদৌলা।
অতিরিক্ত মহাপরিচালক জ্যোতি প্রসাদ ঘোষ বলেন, তিস্তা ব্যরাজের পানি ধারণ ক্ষমতা রয়েছে সাড়ে চার লাখ কিউসেক। এর বেশি প্রবাহ হলে পানি অপসারণের জন্য ফ্লাড বাইপাস খুলে দিতে হয়। তিনি জানান,গত বন্যায় তিস্তা ব্যারেজের ফ্লাড বাইপাসসহ ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধগুলোর সংস্কার কাজ প্রায় শেষের দিকে।তিস্তার ভাটিতে শুকনো মৌসুমে পানি ধরে রাখার জন্য রিজার্ভ ট্যাঙ্ক সহ তিস্তাকে দর্শনীয় স্থান হিসেবে গড়ে তুলতে মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়াও বাঁধ সংস্কার, তিস্তা নদী খনন ও পরিত্যক্ত সেচনালা খননের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।দর্শনার্থীদের জন্য ১০টি গনশৌচগার নির্মাণ ও গভীর নলকূপ স্থাপন করা হবে বলে জানান তিনি।
গত কয়েক দিনের টানা ভারী বর্ষণ আর উজানের পাহাড়ি ঢলে নীলফামারী ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই, পশ্চিম ছাতনাই, খগা খড়িবাড়ী, টেপা খড়িবাড়ি, খালিশা চাপানি, ঝুনাগাছ চাপানী, এবং ঘরবাড়ি ইউনিয়নের একাংশে প্রায় তিন হাজারের অধিক পরিবার নদী ভাঙ্গন ও বন্যায় ক্ষতি সম্মুখীন হয়েছে।