
মো : সাদ্দাম হোসেন , স্টাফ রিপোর্টার: বর্তমানে পপি কর যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন এবং লন্ডনের Udichi UK School of Performing Arts–এ একজন লোকসংগীত শিল্পী ও শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। পাশাপাশি তিনি ‘PK Music School’–এর প্রতিষ্ঠাতা ও সংগীত শিক্ষক হিসেবে কাজ করছেন। তিনি নিয়মিতভাবে প্রবাসী তরুণ প্রজন্মের মধ্যে বাংলা লোকসংগীতচর্চা, গবেষণা ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁর নেতৃত্বে “PK Music School” লন্ডনের প্রবাসী শিশু ও তরুণদের মধ্যে বাংলা সংগীতচর্চাকে জনপ্রিয় করে তুলেছে।
এছাড়াও তাঁর চলমান গবেষণার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো “ঝুমুর গান” — যেখানে তিনি বাংলা লোকসংগীতের আঞ্চলিক ধারা, বিশেষত ঝুমুরের তালের গঠন, নৃত্যনির্ভর উপস্থাপন এবং সামাজিক প্রেক্ষাপট নিয়ে গবেষণা করছেন। তাঁর লক্ষ্য প্রবাসী ও আন্তর্জাতিক শ্রোতাদের সামনে ঝুমুর সংগীতের মূল দর্শন ও নান্দনিকতাকে আধুনিক উপস্থাপনায় তুলে ধরা।
ডিজিটাল যুগে লোকসংগীতের পুনর্জন্ম
‘মাটির গান’ অ্যালবামের সব গান এখন পাওয়া যাচ্ছে Spotify, Apple Music, Amazon Music, Deezer, YouTube Music–সহ জনপ্রিয় সব ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে। ভিডিও সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছে তাঁর নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল “Popy Kar Official”–এ, যা ইতিমধ্যেই সংগীতপ্রেমীদের প্রশংসা কুড়িয়েছে।
প্রবাসী সংস্কৃতি বিশ্লেষকদের মতে, এই অ্যালবাম “লোকসংগীতের বিশ্বায়নের এক আধুনিক রূপায়ণ।” তাঁদের মতে, পপি কর প্রমাণ করেছেন—বাংলা লোকসংগীত আধুনিক প্রযুক্তি, পেশাদার প্রযোজনা ও গবেষণাভিত্তিক দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মঞ্চে নতুনভাবে উপস্থাপন করা সম্ভব।
প্রবাস থেকে মাতৃভূমির প্রতি অঙ্গীকার
পপি কর শুধু একজন শিল্পী নন, তিনি একজন সাংস্কৃতিক সেতুবন্ধনকার। যুক্তরাজ্যে থেকেও তিনি বাংলার ঐতিহ্য, ভাষা ও সুরকে নতুন প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে কাজ করছেন। তাঁর প্রতিষ্ঠিত “PK Music School”-এ নিয়মিত সংগীতশিক্ষা, কর্মশালা ও লোকসংগীত উৎসবের মাধ্যমে তরুণেরা বাংলার শিকড়ের সঙ্গে নতুন করে পরিচিত হচ্ছে।
পপি কর বলেন,
“লোকসংগীত আমাদের আত্মপরিচয়। আমি চাই, এই সুরের উত্তরাধিকার যেন প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে টিকে থাকে—দেশে ও প্রবাসে।”
বাংলা লোকসংগীতের নতুন অধ্যায়
বাংলা লোকসংগীতের শিকড় ও বিশ্বায়নের সেতুবন্ধনে পপি করের এই উদ্যোগ প্রবাসী সংস্কৃতি আন্দোলনে এক নতুন অধ্যায় যোগ করেছে। শিল্পী, গবেষক ও শ্রোতাদের মতে, ‘মাটির গান’ আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় লোকসংগীতকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রতিষ্ঠিত করার এক সৃজনশীল প্রয়াস।
লন্ডনের সাংস্কৃতিক মহলে এখন একটাই কথা—
“বাংলার মাটির গন্ধ পপি করের গানে লন্ডনের বাতাসে মিশে গেছে।”
আপনার মতামত লিখুন :